Posts

তুমি যখন ভাবনায়

** পুরাতন প্রেম ** **  অলোকা চক্রবর্তী **  তোমাকে সেদিনের অঝোর ধারায় বৃষ্টির ভালবাসার সেই     গল্পটা আমার বলা হয়নি জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা , বৃষ্টি আর হাওয়ার দাপটে আমি নাস্তানাবুদ আমার ছিল                   যে কাজ তাতো গেল অস্তাচলে সেদিনের মত। মনে হচ্ছিল আমি বুঝি নদীর ভিতর হেঁটে চলেছি অজানা      অচেনা মোহনায় এমনি ঘোনঘোর সমারোহ শ্রাবণের , ভেবেছিলাম অস্তরবির শেষ আলোর মত নিরুদ্দেশ হয়ে     যাবে আমার প্রাণের শিখা প্রলয়ের কাছে হার মেনে।  ক্ষণিকের তরে মনের মধ্যে তখন লুকোচুরি খেলেছিল    কত হারা-জেতা,সুখ,দুঃখের স্মৃতি অজানা আশঙ্কায় , তারপর জানিনা কে দিলো আমায় সেই মনের শক্তি বৃষ্টির    ভালবাসার আলিঙ্গনে পথিকের মত এগিয়ে যাওয়ার। আমার জীর্ণ মনের শক্তি অরূপ রতনের আশায় অজানা     তরীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম দূর্গমকে সহজ করতে, কথাহারা আমি অজস্র কথার বাঁধনে চেনা পরিচয়ে করে  ঠিক যেন নবজন্ম ফিরে পেলাম রূপকথার গল্পের মতো। আমার জীবনের অনেক গল্পই তুমি জানো না...

শুধু তোমার জন্য

** পুরাতন প্রেম ** **  অলোকা চক্রবর্তী **  তোমাকে সেদিনের অঝোর ধারায় বৃষ্টির ভালবাসার সেই     গল্পটা আমার বলা হয়নি জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা , বৃষ্টি আর হাওয়ার দাপটে আমি নাস্তানাবুদ আমার ছিল                   যে কাজ তাতো গেল অস্তাচলে সেদিনের মত। মনে হচ্ছিল আমি বুঝি নদীর ভিতর হেঁটে চলেছি অজানা      অচেনা মোহনায় এমনি ঘোনঘোর সমারোহ শ্রাবণের , ভেবেছিলাম অস্তরবির শেষ আলোর মত নিরুদ্দেশ হয়ে     যাবে আমার প্রাণের শিখা প্রলয়ের কাছে হার মেনে।  ক্ষণিকের তরে মনের মধ্যে তখন লুকোচুরি খেলেছিল    কত হারা-জেতা,সুখ,দুঃখের স্মৃতি অজানা আশঙ্কায় , তারপর জানিনা কে দিলো আমায় সেই মনের শক্তি বৃষ্টির    ভালবাসার আলিঙ্গনে পথিকের মত এগিয়ে যাওয়ার। আমার জীর্ণ মনের শক্তি অরূপ রতনের আশায় অজানা     তরীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম দূর্গমকে সহজ করতে, কথাহারা আমি অজস্র কথার বাঁধনে চেনা পরিচয়ে করে  ঠিক যেন নবজন্ম ফিরে পেলাম রূপকথার গল্পের মতো। আমার জীবনের অনেক গল্পই তুমি জানো না...

পুরাতন প্রেম

** পুরাতন প্রেম ** **  অলোকা চক্রবর্তী **  তোমাকে সেদিনের অঝোর ধারায় বৃষ্টির ভালবাসার সেই     গল্পটা আমার বলা হয়নি জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা , বৃষ্টি আর হাওয়ার দাপটে আমি নাস্তানাবুদ আমার ছিল                   যে কাজ তাতো গেল অস্তাচলে সেদিনের মত। মনে হচ্ছিল আমি বুঝি নদীর ভিতর হেঁটে চলেছি অজানা      অচেনা মোহনায় এমনি ঘোনঘোর সমারোহ শ্রাবণের , ভেবেছিলাম অস্তরবির শেষ আলোর মত নিরুদ্দেশ হয়ে     যাবে আমার প্রাণের শিখা প্রলয়ের কাছে হার মেনে।  ক্ষণিকের তরে মনের মধ্যে তখন লুকোচুরি খেলেছিল    কত হারা-জেতা,সুখ,দুঃখের স্মৃতি অজানা আশঙ্কায় , তারপর জানিনা কে দিলো আমায় সেই মনের শক্তি বৃষ্টির    ভালবাসার আলিঙ্গনে পথিকের মত এগিয়ে যাওয়ার। আমার জীর্ণ মনের শক্তি অরূপ রতনের আশায় অজানা     তরীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম দূর্গমকে সহজ করতে, কথাহারা আমি অজস্র কথার বাঁধনে চেনা পরিচয়ে করে  ঠিক যেন নবজন্ম ফিরে পেলাম রূপকথার গল্পের মতো। আমার জীবনের অনেক গল্পই তুমি জানো না...

আমি সেই মেয়েটা

** আমি সেই মেয়েটা** ** কলমে -- অলোকা চক্রবর্তী ** আমি সেই মেয়েটা যে তোমাদের কারুর প্রেয়সী, কারুর মা,              কারুর বোন, কারুর বন্ধু, কারুর সহকর্মী, সত্যি আমি বহুরূপী এই সমাজে,সংসারের অমোঘ বিধির               নিয়মে আপনপর ভুলে সেবায়,ভালবাসায়।  আমি কিন্তু পারি সময়ে অসময়ে সংসারের উত্তাল ঝড়কে                   সামলাতে, ডুবন্ত নৌকাকে ভাসিয়ে রাখতে, পরোয়া করিনা আজকাল প্রশংসা না নিন্দা করলে তোমরা          কারণ আমার দায়িত্ব, কর্তব্যে আমি অবিচল। আমার মমত্ববোধ আমায় দিয়েছে পরমশক্তি দশভূজা হতে  আবার বিবেকবোধ দিয়েছে স্নেহের আঁচল বিছিয়ে দিতে,  আমি মেয়ে এটা বড় গর্বের সঙ্গে বলি আজ নেই মনে কোন    খেদ,নেই কোন আমার অনুশোচনা,আমি হারতে শিখিনি। আমি বৈষম্য বিশ্বাসী নই , মানিনা কোন অবাঞ্ছিত শৃঙ্...

ফিরে দেখা ( শেষ পর্ব)

**ফিরে দেখা ( শেষ পর্ব)** ** কলমে -- অলোকা চক্রবর্তী ** আমি দীপুর ঘর থেকে বেরিয়ে ওর ভাইয়ের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম দীপু এখান থেকে চাকরিতে বদলি নিয়ে উত্তর প্রদেশের দেরাদুনে চলে যায়। ওখান থেকে দীপুর ভাই ডাক্তারি পাশ করে। তারপর ওখানকার একটি হাসপাতালে চাকরি পায়। দীপু এই কয়বছর প্রায় কথা বলত না বিশেষ ,অফিস আর বাড়ি করত কিন্তু একদম চুপচাপ থাকত।      দীপুর ভাই চাকরি পাবার পর হঠাৎ একদিন দীপু বলে বাপি তুই মাকে একটু দেখে রাখিস আমি একটু ঘুরে দেখি আমাদের দেশ। সেই শুনে খুব কান্নাকাটি করে দীপুর মা ।ওনি অনেক বাধা দেবার চেষ্টা করে কিন্তু কোন লাভ হয়নি দীপু বলে ভাই রইল তো। এরপর প্রায় তিন বছর দীপুর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।             দীপুর ভাই বহু জায়গায় গিয়ে খোঁজ খবর করে কিন্তু দাদাকে পাইনি। এই মাস ছয় আগে দীপুর ভাই দীপুর মাকে নিয়ে পুরীতে যায় মা খালি কান্না করে দাদার জন্য। ওই সময় একদিন ভোরবেলায় ওর ভাই দেখে একটা লোক সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে আছে।জামা কাপড় সব ছেঁড়া, তখন কাছে যায় কৌতুহল বশত। কাছে গিয়ে গিয়ে দেখে ওর দাদা ওইরকম ভাবে ...

ফিরে দেখা ( ৩য় পর্ব)

** ফিরে দেখা (৩য় পর্ব)** ** কলমে -- অলোকা চক্রবর্তী **  বিছানা থেকে উঠে জানলার কাছে গিয়ে বসলাম,দূর থেকে দীঘির পাড়ের সেই আম গাছের বাঁধানো জায়গাটা দেখতে পেলাম যেখানে আমি আর দীপু কত সময় কাটিয়েছি।কত জীবনের গল্প সাজিয়েছি দুজনে মিলে কে কতটা ত্যাগ করবো,কে কতটা দায়িত্ব নেবো। তবে দুজনের একটাই শর্ত ছিল কোন অভিযোগ করবো না পরস্পরের দোষ ত্রুটি ধরে, বরং ঘাটতি যা থাকবে একজনের- আরেকজন সেটা পূরণ করবো।              আমি মাঝে মাঝে বলতাম "দীপু তুমি আমাকে কেন এত ভালবাসো বলতো"? , দীপু উত্তর দিত তুই তো এমন মানুষ যাকে ভালবাসায় ভরিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয় সর্বস্ব দিয়ে ।দেখবি 'কুহু' তোকে কখনও কষ্ট পেতে দেবো না । আমি তন্ময় হয়ে সেই পুরনো সব কথায় হারিয়ে বসে ছিলাম চুপচাপ।        বেলা মাসী ঘরে এসে বলে কিরে অন্ধকারে বসে আছিস , আলোটাও জ্বালাসনি। এনে চা খেয়ে আয় খাবার ঘরে তোর প্রিয় মোচার চপ আজকে বানিয়েছি। আয় সবাই মিলে গরম গরম খাবো। বেলা মাসীকে বলি তোমাকে কে এত খাটতে বলেছে বলতো। আমার তো খারাপ লাগছে, তোমার তো বয়স হয়েছে, আমার জন্য খেটে যাচ্ছো সেই ...

ফিরে দেখা (২য় পর্ব)

** ফিরে দেখা ( দ্বিতীয় পর্ব)** ** কলমে -- অলোকা চক্রবর্তী ** আমি জানলায় দাঁড়িয়ে হারিয়ে গেছিলাম পুরানো দিনের সেই স্বপ্নের মত দিনগুলোতে হুস ফিরল বেলা মাসীর ডাকে । জানলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি অত ভাবছিস তুই,খাবি না বেলা তো অনেক হলো অত দূর থেকে এলি এবার হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে একটু রেস্ট নে অনেকটা ধকল গেছে তো তোর আসতে এখানে।           বেলা মাসীকে জড়িয়ে ধরে বললাম কেন জীবনে এত কিছু পেলাম কিন্তু কিছুই তো ধরে রাখতে পারলাম না। বলতো। আজকে তুমি খেতে ডাকছো কতদিন এমন‌ যায় খাবার পরে থাকে খাওয়া হয়না , কেউ নেই ওখানে বলার মত কুহু এবার খেয়ে নে। আমার কতটুকু বয়েস বলো ধূধূ মরুভূমির মধ্যে আমি একা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।      বেলা মাসী বললো কুহু তোর কষ্ট আমি বুঝতে পারি রে তবু তোকে নিজের জন্য ভালো থাকতে হবে।চল মা আজ তোকে নিজের হাতে বেড়ে খাওয়াবো। সেই ছোটবেলায় তুই যা খেতে ভালবাসতিস তাই রান্না করেছি নিজে হাতে।তোর মেসো সব বাজার করে এনেছে আজ নিজে। আমাকে বলেছে মেয়েটাকে দেখে রেখো ওই আমাদের সন্তান আর তো আমাদের কেউ নেই।      আমি খেয়ে এসে শুয়ে ঘুমি...